নোবেল যে কারনে জেমস ও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন

আবার ও নোবেলের নিয়ে ‍ঋড় .......

ভারতীয় টিভিতে সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন মাঈনুল আহসান নোবেল। তারপর তাকে নিয়ে দেশেও শুরু হয় হইচই। তবে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নোবেল জড়িয়ে পড়েন নানা বিতর্কে। সর্বশেষ ১৪মে রাতে নোবেল ব্যান্ড লিজেন্ড জেমসকে নিয়ে অবমাননাকর স্ট্যাটাস দেন। ঈদের আগের রাতে নিজের ফেসবুক পেজে নগর বাউল জেমস, জনপ্রিয় গীতিকার-সুরকার ইথুন বাবুকে নিয়ে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দিয়েছেন নোবেল। এতে নোবেলের উপর ক্ষিপ্ত হয় সংগীত প্রেমীরা। যদিও নোবেল দাবি করেন তার ফেসবুক পেইজটি হ্যাক হয়েছে। তবে সংগীত পরিচালক আহমেদ হ‌ুমায়ূন দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসবই নোবেলের ভাওতাবাজি। নোবেল নিজে থেকেই এসব করেছে। 

নোবেলের এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জের ধরে নোবেলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে অডিও প্রযোজনা সংস্থা সাউন্ডটেক।  মাঝখানে এক বিনোদন সাংবাদিককে হুমকি দিয়েও খবরের শিরোনাম হন নোবেল। শুধু তাই নয়, সব সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যেও প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন তিনি।

এদিকে ১৮ মে রাতে পরপর দুটি পোস্ট দেন নোবেল। প্রথম পোস্টে তিনি সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান। অপর পোস্টে জেমসের কাছে ক্ষমা চান নোবেল।

সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নোবেল লিখেন, ‘রোড অ্যাক্সিডেন্ট এর পর আমাকে কেউ একবার কল করে খবর নিল না। নিজের আবেগ আসলে ধরে রাখতে পারি নাই। আমি মাত্র ২৪ বছর বয়সী একজন তরুণ শিল্পী। আমিও তো দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়ে
এনেছি। আমি না হয় ভুল করব। সেগুলি ভুল ধরে দেওয়ার দায়িত্ব তো আপনাদের। সেখানে অনেকেই আমাকে প্রতিনিয়ত হেয় করছেন। তাই আসলে রাগ সামলাতে পারিনি। আমি সকল সাংবাদিক ভাইদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কথা দিচ্ছি পরবর্তীতে এ রকম ভুল আর হবে না... সবাইকে ভালোবাসা... ঈদ মোবারক।’

অপরদিকে রাত ৯টার দিকে আরেকটি পোস্টে জেমসের কাছে ক্ষমা চান নোবেল। তিনি লিখেন, ‘জেমস ভাই। আমার তো মায়ের পেটের বড় ভাই নাই। যদি থাকত, আমি তাকে আপনার মতো করেই ভালোবাসতাম, শ্রদ্ধা করতাম। জেনে না জেনে, বুঝে না বুঝে, রাগ অভিমানে, অনেক অন্যায় করে ফেলেছি। গুরু!! যে ভুল আমি করেছি, সে ভুলের ক্ষমা চাওয়ার যোগ্য আমি নই। তবুও, যদি নিজের ছোট ভাই এবং আপনার সবচেয়ে বড় ভক্ত মনে করে আমাকে একটু ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখতেন, আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকতাম।’

জেমসের কাছে নোবেলের ক্ষমা চাওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি নোবেলের আইডি হ্যাক হওয়ার ঘটনা মিথ্যা? আহমেদ হ‌ুমায়ূনের দাবিই কি সত্য? তবে যাই হোক না কেন, নোবেলের এই দুটি স্ট্যাটাস থেকে এটা অনুমান করা যায় যে, এই বিতর্কের অবসান ঘটাতে চাচ্ছেন তিনি।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ