বাংলার নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপর্যয় নিয়ে এদিন বীরাপ্পা মইলি বলেন, ‘অধীর দুর্বল নেতা। তৃণমূল স্তরের মানুষের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। ও শুধু মমতার নামে কটু শব্দ ব্যবহার করে নেতা হয়েছে। মাটির সঙ্গে ওঁর কোনও যোগ নেই। বাংলার নির্বাচনে ভুল নীতির জন্য ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। তাঁদের উচিত ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা।’ সুতরাং কংগ্রেসের বাংলায় এই হালের জন্য অধীরকেই তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে অধীর এখনও কিছু বলেননি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন মইলি। বর্ষীয়ান এই নেতা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদেরই নেত্রী। তৃণমূল কংগ্রেস গড়ার আগে তিনি কংগ্রেসেই ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আমাদের দলের আরও বেশি যোগাযোগ রাখা উচিত ছিল। কারণ মমতা বিজেপির সঙ্গে লড়াই করছেন। তিনি আমাদের সঠিক সহযোগী হতে পারতেন। অধীর যে ভাষায় মমতাকে আক্রমণ করেছেন তা সাধারণ মানুষ, এমনকী আমাদের দলের কর্মীরাও ভালোভাবে নেননি। কংগ্রেসের চিরাচরিত শক্ত ঘাঁটিগুলিতেও মানুষ মমতার পক্ষে রায় দিয়েছে। এরপরও কেন অধীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না?’
মইলির সরাসরি আক্রমণ, ‘যার ভুল নীতিতে এই ভরাডুবি, সেই লোকটা এখনও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে এবং লোকসভার কংগ্রেস দলনেতার পদে রয়ে গিয়েছেন। লোকটা শাস্তি পেল না।’ বীরাপ্পার ক্ষোভ, ‘এভাবে যদি কাউকে শাস্তি না দেওয়া হয়, তাহলে সেই দলের কদর থাকে না। আমরা এখন রাজ্যে নেতা নির্বাচন করছি কে বেশি টাকা তুলতে পারবে। আর কার সম্প্রদায়ের লোক বেশি, সেই নিরিখে। আমার মনে হয় না, এভাবে নির্বাচনে জেতা যায়।’ তাহলে কী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস আর কংগ্রেসের জোট হবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ