দক্ষিণ হাশিমপুর এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ওপর দিয়ে প্রায় কোমরসমান পানি বইছে ....

তাঁরা পাঁচ বন্ধু রাত ১১টায় ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি বাসে রওনা হয়েছিলেন। গন্তব্য কক্সবাজার। সবাই মিলে তিন দিনের জন্য ঘুরতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভোর পাঁচটা থেকে তাঁরা আটকা পড়েন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ বাগিচাহাট এলাকায়। সড়কের স্থানে স্থানে পানি উঠে যাওয়ায় তাঁদের বহনকারী গাড়িটি আটকে যায়।


 

শুধু অনীক সাহা, পাভেল আহমেদদের গাড়ি নয়। চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া থেকে কক্সবাজারমুখী গাড়িগুলোর লাইন পড়ে যায়। কেউ রাত তিনটায়, কেউ রাত চারটা থেকে এই ভোগান্তিতে পড়েছেন। চন্দনাইশের হাশিমপুর কসাইপাড়া থেকে লোহাগাড়া পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় জায়গায় জায়গায় সড়ক পানিতে ডুবে রয়েছে। দুই দিকের গাড়ি ও যাত্রীরা আটকে রয়েছেন। সড়কের ওপর প্রায় কোমরসমান থেকে বুকসমান পানি।

অনীক সাহাদের সঙ্গে দেখা হয় কসাইপাড়া এলাকায়। অনীক বলেন, ‘তাঁদের গাড়ি গাছবাড়িয়া এলাকায়, অর্থাৎ আরও চার কিলোমিটার পেছনে। আমরা হেঁটে সামনে চলে এসেছি। এত পানিতে কীভাবে গাড়ি যাবে?’

অনীকের সঙ্গে ছিলেন পাভেল। তাঁদের অপর তিন বন্ধু গাড়িতেই রয়েছেন। দুজন পরিস্থিতি দেখার জন্য বের হয়েছিলেন। পাশাপাশি কিছু খাবার পাওয়া যায় কি না, তা দেখছিলেন। কিন্তু দু–একটা দোকান থাকলেও কোনো খাবার পাওয়া যাচ্ছিল না।

পাভেল বলেন, ‘ভোর পাঁচটা থেকে এই জায়গায় আছি। কোথায় খাওয়া, কোথায় কী! কখন যে সড়ক খুলবে, তা–ও বোঝা যাচ্ছে না। জায়গায় জায়গায় নাকি পানি!’
ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় থাকেন পাভেল। তাঁদের অপর বন্ধুরা হলেন মনির, আল আমীন ও সাগর। তাঁরা ঢাকায় ব্যবসা করেন। অনেক দিন পর বেড়াতে যাচ্ছিলেন কক্সবাজারে। পাভেল বলেন, ‘আগেও গিয়েছি। তবে এবার বর্ষায় যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। কিন্তু এভাবে যে কষ্টে পড়ব, বুঝিনি।’

সর্বশেষ আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকেও অনিক–পাভেলদের বাস একই জায়গায় ছিল।

Share on Google Plus

About NewsBooks24

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment